বেঁচে থাকা কঠিন কিছু নয় আবার মৃত্যুর হার যে কম নয়। একে একে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন আশপাশের বহু মানুষ। অনেকেই জীবন বাজি রেখে রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে হয়েছেন শহীদ। তবে আক্রান্তের হার চোখ ফাঁকি দিয়ে বরাবরই বাড়ছে।
মীরসরাই উপজেলায় গত কয়েকদিনে সবচেয়ে উৎকন্ঠার বিষয় একসাথে ১০ পুলিশ সদস্য সহ ১২ জনের নমুনা করোনা পজেটিভ। সবুজ জোনে যেন লালবৃত্তের ঝড়। তবে পরিস্থিতি সামলে নিতে কিংবা ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করাই মাত্র খুলে দেওয়া হবে আইসোলেশন সেন্টার। সেজন্য করোনা রোগীদের সাদরে গ্রহণ করতে প্রস্তুত করা হচ্ছে উপজেলার দুইটি আইসোলেশন সেন্টার।
মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, মিরসরাইয়ে পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা প্রাথমিকভাবে দুইটি ভবনকে আইসোলেশনের জন্য নির্ধারণ করেছি। তন্মধ্যে একটি উপজেলার চৈতন্যর হাট বাজারের পাশ্ববর্তী রহমানিয়া মাদরাসা সাইক্লোন ভবন এবং বারইয়ারহাট পৌর বাজারের পূর্ব পাশে নবনির্মিত বারইয়ারহাট পৌরভবন।
আগে থেকেই এমন প্রস্তুতি পরিস্থিতি মোকাবেলায় বেশ সক্রিয় ভূমিকা রাখবে বলে জানান স্থায়ীনরা। বারইয়ারহাট পৌরসভা এলাকার বাসিন্দা রুবেল প্রেসবিডিকে জানান, নবনির্মিত পৌর ভবনে পরিবেশ করোনা রোগীদের জন্য অনুকূলে, তবে সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে স্থানীয়রা যাতে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে যাতে না পড়ে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান প্রেসবিডিকে জানান, মিরসরাই সর্বশেষ তিনজন পজেটিভ এবং ১ দিনে সর্বোচ্চ ১২ করোনা পজেটিভসহ সর্বমোট ৩৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের আইসোলেশনের জন্য আপাতত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবনকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
করোনা এবং আইসোলেশন যেন একই সুতোয় বাঁধা। করোনা হলেই আইসোলেশন বাধ্যতামূলক। সে মূলকের ধারায় করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় মীরসরাইয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে দুইটি আইসোলেশন সেন্টার, প্রয়োজনে সেটি আরো বাড়তে ও পারে
বার্তা প্রেরক
হৃদয় দেব নাথ
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি