স্বামী মৃত্যর পর অসহায় দিন যাপন করছে বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। বিধবা স্ত্রী সরকারের কাছে একটি বাড়ি চায়। উপজেলা শালবাহান ইউনিয়নের ছোপাগছ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দীন মারা যায় প্রায় ৪ বছর আগে। মারা যাওয়ার আগ মূহুর্ত পর্যন্ত তার ২য় স্ত্রী সন্তান নিয়ে মাত্র ৪ শতক জমির উপর ঝুপড়ি তুলে বসবাস করছিলে। প্রথম স্ত্রী সন্তানদের সাথে ঢাকায় থাকেন। প্রথম স্ত্রীর সন্তারা ঢাকায় অন্যের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কর্মরত। এদিকে তিনি ২য় স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে গ্রামে বসবাস করতেন। স্বামী মৃত্যুর পর মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতা দুই স্ত্রী সমান ভাগে বন্টন করে নেন। এভাবেই সংসার চালিয়ে থাকেন। ছেলে দেলোয়ার হোসেন ট্রাকের হেলপারি করে সংসারের জোগান দিতেন। দুর্ভাগ্যের শিকার গত ২৯ ডিসেম্বর মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। সংসারে জোগান দেয়া এক মাত্র সন্তানকে ৪ বছরের মাথায় হারিয়ে আরো অসহায় হয়ে পড়েন। সাড়ে ৪ বছর বয়সের নাতি নিয়ে কোন মতে দিনাতিপাত করছে।
স্ত্রী মনোয়ারা বেগম জানান, চার বছর আগে স্বামীকে হারিয়ে সন্তানদের নিয়ে কোন মতে সংসার চালাতাম। সংসারে উপার্জনক্ষম ছেলে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ায় অসহায় হয়ে পাড়েছি। সন্তানদের নিয়ে কোন মতে ঝুপরি ঘরে বসবাস করছি। এখন পর্যন্ত সরকারি কোন সাহায্য সহযোগিতা পাইনি। ছেলে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার দিন শালবাহান ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক আশরাফুল ইসলাম নগদ অর্থ ও চাল ডাল দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করেছেন। আমরা গরীব মানুষ, আমার স্বামী একজন মুক্তিযোদ্ধা তবুও সরকারি কোন সাহায্য সহযোগিতা পাইনা। সরকারেরর কাছে আবদার যদি একটি বাড়ি করে দিতো তাহলে সন্তানদের নিয়ে অন্তত শান্তিতে একটু ঘুমাতে পারতাম।
ছেলে আনোয়ার হোসেন জানান, আমি ঢাকায় অন্যের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করি। গ্রামে আসলে নিজের বাড়িতে ঘুমানোর মত কোন ঘর না থাকায় অন্যের বাড়িতে আমাদের ঘুমাতে হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা জানান, বিষয়টি শুনেছি আমাদের প্রথম ধাপের বরাদ্দ শেষ হয়ে গেছে। পরবর্তী বরাদ্দ আসলে প্রথমেই মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রীর বাড়ির বিষয়টা অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
বার্তা প্রেরক
জাবেদুর রহমান জাবেদ
তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি