ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী মো. সফি উল্যাহ (৬০) হত্যা মামলার রায়ে একজন আসামীকে মৃত্যুদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। তাঁর নাম সোহেল হাওলাদার ওরফে ঘোড়া সোহেল (২০)। তিনি বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকরন মধ্যপড়ার মো. চাঁন মিয়া হাওলাদারের ছেলে। রায় ঘোষনার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রোববার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন নেছা এ রায় প্রদান করেন।
আদালত সুত্র জানায়, ফেনী পৌরসভার বারাহীপুর গাজীক্রস রোডের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতো ফেনী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী সফি উল্যাহ (৬০)। তার বাড়ী ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামে। ২০১৯ সালের ২৯ মে সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তরা তাকে ঘরের মধ্যেই হত্যা করে বেতন-বোনাসের এক লাখ টাকা ও স্বর্নালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। তিনি তখন বাসায় একাই ছিলেন। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ফেনী থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। পরদিন ৩০ মে সফি উল্যাহর ছেলে মো. মোতালিব হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামীর বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় পুলিশ সোহেল হাওলাদার ওরফে ঘোড়া সোহেল (২০), তাঁর ছোট ভাই রনি হাওলাদার (১৬), মেহেদী হাসান রাব্বি (১৬) ও মো. ইয়াছিন সাকিব কাজীকে (১৬) গ্রেপ্তার করে। রনি হাওলাদার , মেহেদী হাসান রাব্বি ও মো. ইয়াছিন সাকিব কাজীসহ তিনজন ফেনীর বিচারিক হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তারা তিনজনই সোহেল হাওলাদার ওরফে ঘোড়া সোহেলের ডাকে সাড়া দিয়ে এ হত্যাকান্ডে অংশ নেওয়ার কথা জানায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান চৌধুরী তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৯ এপ্রিল আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। আসামীদের মধ্যে তিনজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে ফেনীর শিশু আদালতে পৃথক মামলা (২৬/২০) দায়ের করা হয়। এ দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একমাত্র আসামী সোহেল হাওলাদার ওরফে ঘোড়া সোহেলের মামলা চলতে থাকে। এতে মামলার বাদীসহ ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়। ফেনীর সরকারী কৌসুলী (পিপি) হাফেজ আহম্মদ নৈশপ্রহরী হত্যা মামলার রায়ে সোহেল হাওলাদার ওরফে ঘোড়া সোহেল নামে একজন আসামীর মৃত্যুদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডের রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
বার্তা প্রেরক
শেখ আশিকুন্নবী সজীব
ফেনী প্রতিনিধি