পর্যটকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে গাইডলাইন প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক।
মঙ্গলবার (৯ জুন) বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং ভ্রমণ ম্যাগাজিনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্ব: বাংলাদেশের পর্যটনের সেরা পেনাল্টি’ শীর্ষক অনলাইন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
সভায় পর্যটনের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে আলোচকরা বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে পর্যটকদের আচরণে পরিবর্তন আসবে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটনের বাজারকে কাজে লাগিয়ে আমাদের পর্যটন খাতের উন্নয়ন ধরে রাখতে পর্যটকদের পরিবর্তিত আচরণের সাথে পর্যটন উদ্যোক্তাদের মানিয়ে চলতে হবে। পর্যটন খাতে পর্যটকদের দ্বারা টেকনোলজির ব্যবহার বাড়বে এবং পর্যটনের উন্নয়নের জন্য তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। নতুন পর্যটন গন্তব্য খুঁজে বের করতে হবে এবং পর্যটন পণ্যের বৈচিত্র্য আনতে হবে। গ্রামীণ ও প্রান্তিক পর্যটন গন্তব্যের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে এবং লক্ষ্য রাখতে হবে একই পর্যটন গন্তব্যে যেন বেশি পর্যটকের ভিড় না হয়। ‘টুরিস্ট ক্যারিং ক্যাপাবিলিটি’ নিশ্চিত করার জন্য ও পরিবেশ বাঁচাতে পর্যটনের সাথে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। স্থানীয় জনগণকে প্রশিক্ষিত করে দক্ষ পর্যটন জনবলে রূপান্তরিত করারও সুপারিশ আসে।
ভ্রমণ ম্যাগাজিনের সম্পাদক আবু সুফিয়ানের সঞ্চালনায় ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনলাইন সভায় অন্যান্যের মধ্যে যুক্ত ছিলেন গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নওয়াজীশ আলী খান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোকাব্বির হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, এটিএন বাংলার প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা জ ই মামুন, টোয়াবের সভাপতি মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান, দৈনিক সমকালের চিফ রিপোর্টার লোটন একরাম, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান এম ডি সবুর খান, পাটা বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট সাহিদ হামিদ ও ট্রিয়াবের সভাপতি খবির উদ্দিন আহমেদ।