বিশ্বে প্রায় ৫০ মিলিয়নের বেশি ডায়াবেটিস রোগী প্রতিবছর রমজান মাসে রোজা করে থাকেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে বছরে এই এক মাস সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উপোস করা একটি পবিত্র আবশ্যিক কাজ। কিন্তু নতুন পুরাতন ডায়াবেটিস রোগীরা এই রোজা পালন করতে গিয়ে নানা বিভ্রান্তি ও প্রশ্নের সম্মুখীন হন। যেমন_ এক. ডায়াবেটিস রোগীরা দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকতে পারবেন কিনা, দুই. রোজার দিনে ডায়াবেটিসের ওষুধ বা ইনসুলিন কিভাবে দেয়া যাবে, তিন. রোজার সময় গ্লুকোমিটার যন্ত্র দিয়ে রক্তের শর্করা মাপলে রোজা ভেঙে যাবে কিনা, চার, রোজা রেখে ব্যায়াম করা যাবে কিনা ইত্যাদি নানা প্রশ্ন ওঠে এই সময়। আজ আমরা সেসব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব।
রমজানে প্রাপ্ত বয়স্ক প্রত্যেক নর-নারীর জন্য রোজা রাখা ফরজ। আর এ ফরজ কাজটি করতে গিয়েই বেশ অসুবিধায় পড়ে যান ডায়াবেটিস রোগীরা। কারণ এ সময় খাদ্যাভাস ও ওষুধের সময়সূচি পরিবর্তনে তাদের শরীরের ক্যালরি এবং ওষুধের মধ্যে সামঞ্জস্যহীনতা দেখা দেয়।
এতে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে আবার কমে যেতে পারে। তাই রমজান মাসে রোজা রাখার জন্য ডায়াবেটিসের রোগীদের দরকার পূর্ব-প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ।