শিশুদের মাঝে ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবণতা বাড়লেও ইউনিসেফ বলছে, দেশের ১৩ শতাংশ শিশু-কিশোর এর মাধ্যমে হয়রানির শিকার হচ্ছে। এছাড়া এই বয়সীদের মধ্যে বাড়ছে তথ্যের অপব্যবহারের ঝুঁকি।
এমন পরিস্থিতিতে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে শিশু-কিশোরদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে রাজধানীতে আয়োজন করা হয় বিশেষ কর্মসূচির। এতে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক অংশ নেন।
'আজকের শিশু, আগামী দিনের ভবিষ্যত'। তাই আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিশুদের প্রস্তুত করতে প্রযুক্তি শিক্ষার বিকল্প নেই। কিন্তু অভিভাবক এমনকি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অসচেতনতায় হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে কোমলমতি শিশুদের প্রযুক্তি শিক্ষার নিরাপদ ব্যবহার।
এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারে ফেসবুক ও ইউনিসেফ' র যৌথ উদ্যোগে দিনব্যাপী ' শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার' শীর্ষক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
যেখানে ১০০টি বিদ্যালয়ের ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা অংশ নেন। স্টলগুলোতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পরিবর্তে শিক্ষামূলক কাজে ইন্টারনেট ব্যবহারে শিশুদের উদ্বুদ্ধ করা হয়।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল দুনিয়ার বিপদ থেকে শিশুদের রক্ষা করতে পরিবারের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন শিক্ষকরা।
দিনব্যাপী এই আয়োজনে শিশু- কিশোরদের উপযোগী ইন্টারনেট পণ্য নিয়ে অংশ নেয় ৫০টির বেশি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান।