ফুটবলের আইন প্রণেতা সংস্থা ‘আইএফএবি’ বিশ্বকাপে ভিডিও অ্যাসিসট্যান্ট রেফারিজ (ভিএআর) ব্যবহার নিয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছিল আগেই। এবার ফিফা দিল চূড়ান্ত অনুমোদন। রাশিয়া বিশ্বকাপেই রেফারিদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্যের জন্য চালু হবে এই প্রযুক্তি। ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো জানালেন, ‘২০১৮ বিশ্বকাপে প্রথমবার আমরা ভিএআর চালু করতে যাচ্ছি। এটা অনুমোদন পেয়েছে আর এ জন্যই খুশি আমরা।’ ভিএআর থাকছে বলে সব সিদ্ধান্ত প্রযুক্তি নেবে, এমন কথা নেই। মাত্র চারটি ক্ষেত্রেই রেফারিরা সাহায্য নেবেন এই প্রযুক্তির আর সেগুলো গোল, পেনাল্টি, সরাসরি লাল কার্ড ও ভুল করে কাউকে শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে। এই চারটি ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে ইনফান্তিনোর যুক্তি, ‘আমরা রেফারিদের কিছুটা বাড়তি সহযোগিতা করতে চাই। বিশ্বকাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা টুর্নামেন্ট আর আমরা চাই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর বেলায় রেফারিদের সাহায্য করুক প্রযুক্তি। রেফারিরা মানুষ, তাঁরাও ভুল করতে পারে। কিন্তু কারো ভুলে যেন বিশ্বকাপের সৌন্দর্য নষ্ট না হয়।’ ২০১৬ সাল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ফুটবলে চালু হয়েছে ভিএআর। বুন্দেসলিগা, সিরি ‘এ’র মতো টুর্নামেন্টেও আছে এটা। এক হাজারের বেশি ম্যাচে ব্যবহারও হয়েছে এর। তবে প্রতিটি সিদ্ধান্তের জন্য এক থেকে দুই মিনিট লাগায় খেলার গতি যায় থমকে। সব সিদ্ধান্ত সঠিকও দেয় না এই প্রযুক্তি। এ জন্য চ্যাম্পিয়নস লিগে ভিএআরের ব্যবহার নেই। এবারের বিশ্বকাপে যদি প্রযুক্তিটা সফল হয় তাহলেই শুধু চ্যাম্পিয়নস লিগে এর ব্যবহার করা হবে বলে নিশ্চিত করলেন উয়েফা প্রেসিডেন্ট আলেকজন্দার কেফেরিন, ‘অনেক বিতর্ক হয়েছে ভিএআর নিয়ে। বিশ্বকাপে এটা ব্যবহারের পর আমরা একটা চিত্র বুঝতে পারব।’