রেস্তোরাঁর মান নির্ধারণে রাজধানীতে শুরু হয়েছে জরিপ। ভাল হলে মিলবে সবুজ ষ্টিকার। সতর্ক করতে ব্যবহার হবে হলুদ ও লাল। পর্যায়ক্রমে গোটা দেশই আসবে এই কর্মসূচীর আওতায়।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত হোটেল রেস্তোরাঁকে নিরাপদ খাদ্য জোন হিসেবে ঘোষণা করতে জরিপ কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশের চূড়ান্ত স্বীকৃতি পাওয়ার আগেই সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করবে সরকার।
২০২৪ সালে উন্নয়ণশীর দেশের চূড়ান্ত স্বীকৃতি পাওয়ার আগেই দেশের নাগরিকদের নিরাপদ খাদ্য গ্রহণের মৌলিক অধিকারটি নিশ্চিত করতে চায় সরকার।
এ লক্ষ্যেই করা হয়েছে নিরাপদ খাদ্য আইন। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে গঠন করা হয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এ কর্তৃপক্ষ তাদের নানামুখী পদক্ষেপের পাশাপাশি দেশের মানুষকে হোটেল রেস্তোরার নিরাপদ খাবার তুলে দিতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে সোমবার রাজধানীতে হোটেল রেস্তোরাঁগুলোকে নিরাপদ খাদ্য জোন হিসেবে ঘোষণা করতে জরিপ কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়।
নিরাপদ খাদ্য জোন হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্কোর ভিত্তিক হোটেল রেস্তোরাগুলোকে মূল্যায়নের জন্য গ্রীন, ইয়েলো ও রেড হিসেবে সনাক্ত করা হবে। প্রাথমিকভাবে নিরাপদ খাদ্য জোন করার জন্য মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন, প্রেসক্লাব, গুলিস্তান এলাকাকে বেছে নেয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জানান, এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সহজেই জানতে পারবেন কোন হোটেল বা রোস্তোরাটির খাবার নিরাপদ। আর এ কাজের জন্য সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চাইলো বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতি।
অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী জানান, পর্যায়ক্রমে এ কর্মসূচী রাজধানীসহ সারাদেশে বাস্তবায়ন করা হবে। এ সময় মন্ত্রী বলেন, সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য সাধারণ মানুষের সচেতনার ওপর জোড় দেন তিনি।
তিনি বলেন, ভোক্তা ও বিক্রেতা সবার এই আইনটি সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। আমরা সমগ্র বাংলাদেশকে সেইফ জোন হিসেবে ঘোষণা করব। বাংলাদেশের মানুষ যেন এক সময় স্ট্রিট ফুড ও নিশ্চিন্তে গ্রহণ করতে পারে।