সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগ চালুর দাবিতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের ওপর ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ‘হামলার’ অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তারা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলামকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন বলেও খবর পাওয়া যায়।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বাস্থ্য শিক্ষা এডুকেটর মুরাদ হোসেন বলেন, ”জরুরি বিভাগ চালুর জন্য স্যারের রুমের মধ্যে ঢুকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ‘হামলা চালিয়েছে’। স্যারকে ‘মারপিট’ করতে উদ্যত হয়।”অন্যদিকে, হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জানান, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালু হলেও গত পাঁচ বছরের মধ্যে জরুরি বিভাগ চালু করা হয়নি।
তারা দাবি করেন, জরুরি বিভাগ চালু না হওয়ায় তাদের খাতা কলমে শিক্ষাগ্রহন করতে হচ্ছে। প্র্যাকটিকেল হাতে কলমে শিখতে পারছেন না। এখানকার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা ‘ক্লিনিক ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়ে’ জরুরী বিভাগ চালু করছেন না দাবি করে শিগগিরই তারা জরুরি বিভাগ চালুর দাবি জানান। তত্ত্বাবধায়কের ওপর হামলার অভিযোগের বিষয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসক মেহেদী বলেন, ”আমরা কারো উপর কোনো হামলা চালাইনি। তত্ত্বাবধায়কের রুমে প্রবেশের গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল।”
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার ও মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট আবদুল হালিম বলেন, ”ইন্টার্ন চিকিৎসকরা চায় জরুরী বিভাগ চালু করা হোক। এই দাবিতে তারা স্যারের রুমে প্রবেশ করে ‘খারাপ ব্যবহার’ করেছে। তত্ত্বাবধায়ক স্যারকে রুমে অবরুদ্ধ করে রাখে।” তিনি বলেন, এখন রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছেন কর্তৃপক্ষ। পুলিশ প্রশাসনের লোকজন রয়েছে। কি সিদ্ধান্ত হয় সেটি পরে জানা যাবে।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।
বার্তা প্রেরক
মোঃ খলিলুর রহমান
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি